Monday, August 1, 2016

রেসিপিঃ সাধারন হাঁস রান্না (ঝাল)

বাংলাদেশে অনেকে হাঁসের মাংস খেতে চান না। অনেকে মনে করেন, হাঁস একটা পাখি এবং পাখীর মাংস খাওয়া চলে না। তবে পৃথিবীর  নানা দেশে হাঁসের মাংস বেশ আরামে খাওয়া হয় এবং গোটা হাঁসের কাবাব একটা জনপ্রিয় ও পরিচিত খাদ্য।
হাঁসের মাংসে হাড্ডির পরিমাণ বেশী এবং এবং হালকা একটা গন্ধ লাগার কারনে আমিও তেমন একটা পছন্দ করি যে তা নয়! সব সময়েই দূরে থাকার একটা চেষ্টা আছে। এদিকে সিলেটে জন্ম বলে ছোট বেলায় অনেক বড় রাজ হাঁসের মাংস খেয়েছি! আমার জানামতে  বাংলাদেশে সব চেয়ে বেশী হাঁসের মাংস (রাজ হাঁস সহ) খাওয়া হয়, সিলেটে! কথাটা সত্য না মিথ্যা তা প্রমানের ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।
যাই হোক, কাজের কথায় আসি। আমার স্ত্রী আখাউড়ায় ফোন দিলেই হাঁসের কথা বলেন। এই নিয়ে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক দফা হাঁসের মাংস খেলাম শ্বশুর বাড়ির কল্যাণে। গত সাপ্তাহেও দুটো হাঁস পাঠিয়েছেন তারা। একটা নরমাল ঝাল করে রান্না হয়েছে, অন্যটা কাবাব। আজ আপনাদের নরমাল রান্নাটা দেখিয়ে দেই। গোটা হাঁসের কাবাব আর একদিন দেখানো যাবে…।

রেসিপিঃ কাচ্চি বিরিয়ানি

বিরিয়ানি নিয়ে আর কি বলব। উইকিপিডিয়াতে একটু আগে খুঁজতে গিয়ে দেখলাম “বিরিয়ানি বা বিরানি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার প্রভৃতি দেশে প্রচলিত এক বিশেষ প্রকারের খাবার যা সুগন্ধি চাল, ঘি, গরম মশলা এবং মাংস মিশিয়ে রান্না করা হয়। এটি সাধারনত বিশেষ অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়। তেহারীর সাথে এর মুল পার্থক্য হলো এতে মাংসের টুকরা বেশ বড় হয়।” সামান্য কয়েক লাইনে বেশ সারস বর্ননা।
চলুন বিরিয়ানি রান্না দেখি। অনেকে বিরায়ানি রান্না কঠিন মনে করেন আসলে তা নয়। তবে বিরায়ানি রান্নার সময় একটু বেশি সর্তক থাকা এবং নানান পদের মশলাপাতি লাগে, এই যা! তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এখন প্যাকেটে বিরিয়ানির মশলার মিক্স পাওয়া যায়, যা দিয়ে খুব সহজে বিরিয়ানি রান্না করে ফেলা যায় (এটা আর একদিন দেখিয়ে দেব)। চলুন…।

রেসিপিঃ ছাগল/খাসির মাংসের ঝোল




ছাগল বা খাসির মাংসের স্বাদ অতুলনীয়। চর্বি ও একটা বিশেষ ঘ্রানের কারনে অনেকেই খেতে চান না তবে খাসির মাংসের বিরিয়ানী পেলে চুপে চুপে খেয়ে নেন! হা হা হা হা… লোভ সামলানো মুস্কিল! অবশ্য দামের কারনে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো চাইলেও এখন খেতে পারে না! ধনী পরিবারে খাসির গোসত অপরিহার্য! আমি নিজেও এক সময়ে অনেক ছাগল/খাসির গোসত খেয়েছি, এখন আর পাই না তাই খাই না! যাই হোক, রেসিপি লিখা ও রান্না শেখার পর বেশ কয়েকবার খেয়েছি। আজ দুপুরে আবার সুযোগ হল, খাসির গোসত রান্না করার। আপনাদের না দেখিয়ে শান্তি পাচ্ছি না!
আমি একটু ঝোল বেশি রেখেছি বলে, এর নাম দিয়েছি খাসির মাংসের ঝোল। আগেই বলে নেই আপনারা চাইলে ঝোল কমিয়ে নিতে পারেন। আর একটা কথা না বললেই নয়, দুনিয়ার যত দেশে ছাগল পাওয়া যায় কোথায়ও আমাদের দেশের মত ছাগলকে বিচি ফেলে খাসি করিয়ে দেয়া হয় না! এটা আমাদের দেশেই করা হয় এবং যে কোন ছাগল জবাই করে গোসত বিক্রির সময় বলা হয়, খাসি! ব্যাপারটা ছাগল সমাজের জন্য যেমন বেদনাদায়ক, আমাদের জন্য দুঃখজনক! চলুন দেখে ফেলি।