চা বানাতে আমরা কে না পারি? আপনি ভাবতে
পারেন, চা বানানো- এ আর এমন কি। কিন্তু সত্যটি হচ্ছে এই যে- আপনি হয়তো
জানেন চা কীভাবে বানাতে হয়। তবে আসলে একটু বেশি সুস্বাদু ও টেস্টি করে চা
বানাতে পারেন কি ? যা কেউ একবার খেলে আর ভুলতে পারেন না। এ চা বানাতে হয়
ধীরে, অর্থপূর্ণভাবে তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে মোহাবিষ্ট করতে হয়। চা বানানো
সহজ কাজ নয়। চলুন তাহলে আজকে জেনে নিই বিডি রান্নাঘরের দেওয়া কিভাবে
বানাবেন সঠিক দুধ চা। রেসিপি জেনে তৈরি করে নিজে খান আর তাক লাগিয়ে দিন
অতিথিদের ও প্রশংসিত হন সবার কাছে।
প্রনালী ও উপকরন
১।
যে কোন পাত্রে চা রান্না করা উচিত নয়। চা
রান্নার জন্য প্রায় প্রতিটা পরিবারেই আলাদা হাড়ি বা পাতিল বা পাত্র থাকে,
সেটাই ব্যবহার করা উচিত। যে কয় কাপ চা রান্না করতে হবে, সেই কয়েক কাপ দুধ
নিয়ে আরো হাফ কাপ বেশি নিতে হবে মানে সব সময়ে কিছু বেশি কারন আগুনের তাপে
পানি উড়ে যায় বলে শেষে কম পড়ে যেতে পারে। যদি পাউডারের দুধ দিয়ে চা বানাতে
হয়ে তবে সে কয়েক কাপ চা হবে সে কয়েক কাপ পানি নিতে হবে এবং কিছু বেশী।
প্রতি কাপের জন্য এক চা চামচ (উচু উচু) পাউডারের দুধ নিতে হবে। মনে রাখতে
হবে এই মিশ্রন না হবে বেশি ঘন না হবে বেশি পাতলা। আর যদি ঘরে গাভীর তরল দুধ
থাকে এবং তা আগে থেকে জ্বাল দেয়া এবং ঘন হলে তাতে পানি মিশিয়ে মাঝারি তরলে
পরিনত করতে হবে।
২।
আগুনের তাপ মাঝারি রাখতে হবে। মনে রাখতে
হবে আগুনের তাপ বেশি হলে, চোখের পলকেই আপনাকে বোকা বানিয়ে দুধ পাত্র উপচে
পড়ে যাবে, ফলাফল চা কমে যাবে এবং অনুমান আর ঠিক থাকবে না! কাজেই চুলার
কাছেই থাকতে হবে, দুধ উপচে উঠার আগেই আগুন কমিয়ে দিতে হবে। (বাসায় চা
রান্না করতে গিয়ে এমন দুধ উপচে ফেলা নূতন কিছু নয়, অনেকেরই হয়ে থাকে, আমারও
হত, এখন আর হয় না।) *দুধ চা বানাতে আমার একটা হালকা টিপস, দুধে কয়েকটা
এলাচি ফাটিয়ে দিয়ে দিন। আনুমান, প্রতি দুই কাপের জন্য একটা হলেই ভাল।
৩।
ভাল করে জ্বাল দেয়ার পর এবার চা পাতা দিন।
পরিমান, এক কাপের জন্য গায়ে গায়ে এক টেবিল চামচ। তবে আপনি কেমন চা পাতা
কিনলেন তার উপর নির্ভর করে। দামী চা পাতা হলে কম লাগবে। কারন দামী চা পাতা
ভাল থাকে, রং এবং ঘ্রান বেশী বের হয়।
৪।
চা পাতা দিয়ে ফাঁকে চায়ের কাপ সাজিয়ে ফেলুন। চাকুনী নিতে ভুলবেন না।
৫।
মাধ্যম আগুনের আঁচ চলবে।রং টা মনের মত হল
কি না দেখে নিন। মাধ্যম আঁচ চলবে। (যদি সবাই নরমাল চিনি পছন্দ করেন তবে এই
সময়েও চিনি দিয়ে দেয়া যেতে পারে, চিনির পরিমান, এক কাপে গায়ে গায়ে এক চা
চামচ হতে পারে। তবে কম দিয়েই স্বাদ দেখে লাগলে আরো দেয়া যেতে পারে। মনে
রাখবেন, চিনি বেশি হলেই কিন্তু চা আর চা থাকে না, শরবত হয়ে যায়। সুতারাং
ভেবে এবং দেখে। এখন পরিবারে অনেক বয়স্ক ব্যক্তি আছেন যারা নরমাল চিনি খান
না তাই তাদের জন্য চিনি ছাড়া চা রান্না করতে হয়। নিজেরা প্রয়োজন মত তাদের
চিনি নিয়ে থাকেন।)
৬।
এবার চা কাপে ঢেলে নিন।পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
No comments:
Post a Comment