Friday, July 28, 2017

পাতলা ডাল

কি করে মুশরী দিয়ে পাতলা ডাল রান্না করা যায়। অনেকে ডাল রান্নাকে খুব সহজ কাজ বলে মনে করেন। আমার কাছেও তা মনে হয়। এত কম মশলা পাতি দিয়ে আর কিছু করা যায় কিনা তা আমার জানা নেই। ছবির সাথে হালকা বনর্না দিয়ে দিলাম, আশাকরি চেষ্টা করে আপনিও হয়ে যেতে পারেন দুনিয়ার সেরা রান্নাবিদ।





মতিঝিল ফুটপাতে নানা পদের ডালের দোকান।

দেড় লিটার পাতলা ডালের জন্য এক মুষ্ট ডাল (পরিমান অনুমান যোগ্য) নিন এবং ভিজিয়ে রাখুন আধাঘন্টা। ভাল করে ধুয়ে এক লিটার পানি হাড়িতে নিয়ে উক্ত ডাল সহ চুলায় বসিয়ে দিন। একচিমটি হলুদ (হলুদের পরিমান বেশী হলে তিতা হবে এবং রং কালচে হয়ে যাবে সুতারাং সাবধান।) ও এক চা চামচ লবণ দিয়ে জাল দিতে থাকুন। মাঝে একটা পেঁয়াজ কুচি করে দিতে পারেন। অন্য চুলায় কিছু পানি গরম করে রাখুন। এখান কার পানি শুকিয়ে গেলে দেড়লিটার করার জন্য গরম পানি লাগবে।

আগুন চলতে থাকার ফাঁকে আপনি কয়েকটা রসুন ও একটা পেঁয়াজ ফালিফালি করে ফেলুন। কাচামরিচ ও একটা তেজপাতা কাছে রাখুন।

ডাল সিদ্ব হয়ে গেলে ঘুটনী দিয়ে ভাল করে ঘুটা দিয়ে ডাল পানির সাথে মিশিয়ে ফেলুন (এখনকার ডিস্কো পাতিলে ভাল ঘুটা দেয়া যায় না)। আগের দিনের পাতিলে ঘুটা দিলে ডাল চিটকে পড়ত না। যত ঘুটা দিয়ে ডাল মিহীন করে ফেলবেন তত স্বাদ বের হবে। ঘুটা শেষে ডাল অন্য পাতিল (যেটায় গরম পানি ছিল) থেকে প্রয়োজনীয় পরিমান মত গরম পানি মিশিয়ে তাতে কাচামরিচ ও তেজপাতা দিয়ে জাল দিতে থাকুন। লবণ চেক করে নিন, লাগলে দিন।

আলাদা একটা কড়াইতে তেল ঢেলে গরম করুন। তেলে প্রথমে অর্ধেক চা চামুচ পাঁচ ফুড়ন দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। শেষে রক্ষিত রসুন ও পেঁয়াজ ঢেলে নাড়তে থাকুন। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে, ডালের হাড়ি থেকে কিছু ডাল ডালুন। ছ্যাঁত করে একটা শব্দ করে উঠবে, সাবধান। এটাকেই ডালে বাগার দেয়া বলে। ব্যস, এবার সব ডাল একটা হাড়িতে নিয়ে কিছুক্ষন জাল দিতে পারেন। ধনিয়া পাতা থাকলে অল্প দিতে পারেন, না থাকলে নাই।

পাতলা ডাল রান্না শেষ পর্যায়ে আছে।

ধোঁয়া উঠা মুশরীর পাতলা ডাল প্রস্তুত। বসে পড়ুন।

পাতলা ডালের রঙই বলে দেবে স্বাদ হল কিনা।
 

No comments:

Post a Comment